ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
ইউস্যাফের ঈদ আয়োজন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বরকামতা ইউনিয়নবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগ নেতা কালীপদ মজুমদারের অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরণ সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংঘর্ষে ২ জন নিহত আহত ২০ একজন গ্রেফতার ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এড. রফিকুল আলম চৌধুরী  ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমন ছাতকে খালের পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ বিক্রি করবো এমন বাবার মেয়ে আমি না : প্রধানমন্ত্রী ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিএস সুমন সরকার

কুমিল্লায় গনঅবস্থান কর্মসুচিতে মানুষের ঢল

এস এম মাসুদ রানা।
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। বাংলাদেশ একটি স্বৈরশাসনের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বিএনপির ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই দেশের মানুষ সবকিছু ফিরে পাবে।

আজকে সাধারণ মানুষ বিএনপির আন্দোলনের অন্যতম সারথীতে পরিণত হয়েছে। কোথায় যাবে মানুষ, কার কাছে যাবে। সবকিছু কুক্ষিগত করে রেখেছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের পতনের ঘন্টা বেঁজে গেছে। জিয়া পরিবারের ওপর যে অন্যায় নির্যাতন চলছে এর জবাব এদেশের সাধারণ মানুষ দেবে। জিয়া পরিবার শেখ হাসিনার কাছে একটি ভয়ের নাম, একটি আতঙ্কের নাম।

কারণ শহীদ জিয়ার পরে আমরা খালেদা জিয়াকে নেতা নির্বাচন করেছি। আর দেশের মানুষ ভোট দিয়ে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী করেছেন খালেদা জিয়াকে। খালেদা জিয়ার পরে বিএনপির নেতৃত্ব কে দেবে ? এমন প্রশ্ন একজন নুন্যতম সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করলে উত্তর আসবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কিন্তু শেখ হাসিনার পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কে দেবে? আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনেও সে কথা তারা বলতে পারেনি। আওয়ামী লীগ করে অথবা সাধারণ কোন মানুষকে জিজ্ঞেস করলেও এর সঠিক উত্তর দিতে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের সব কিছুই বিদেশে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের কোনো বন্ধন নেই।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) কুমিল্লা টাউনহল মাঠে অনুষ্ঠিত গণ অবস্থান কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সকল নেতাকর্মীর নি:শর্ত মুক্তি ও বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে সারা দেশে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাংগঠনিক বিভাগ কুমিল্লায় এ গণঅবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১ টায় পবিত্র কোরআন তেলায়াতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।

কর্মসূচিতে কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গণ অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।

বেলা পৌনে তিনটায় শুরু হওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরির সময় যখন শেখ হাসিনার পাশে মতিউর রহমান নিজামী ও সালাউদ্দিন কাদেররা বসা থাকেন তখন তারা রাজাকার নয়, মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যান। আর বিএনপির পাশে মুক্তিযোদ্ধারা থাকলে তারা রাজাকার হয়ে যান।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আওয়ামী লীগের অনেকেই বলেন, জিয়া মুক্তিযুদ্ধ করে নাই। তাদের উদ্দেশে বলবো ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমিতে যারা সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে শেখ মুজিবই জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিলেন।

জিয়া যদি মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে থাকেন তাহলে কেন তাকে বীর উত্তম উপাধি দিলেন? এজন্য তো আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধুর মরোনত্তর বিচার করা উচিত।
বক্তব্যের শেষের দিকে তিনি কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৬ জানুয়ারি ১০ দফা দাবি আদায় এবং বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে সারাদেশে সকল মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌর সদরে সমাবেশ ও মিছিল করার আহবান জানান।

কর্মসূচি সফল করতে দেবিদ্বার এর গণ মানুষের নেতা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল আহসান মুন্সির নেতৃত্বে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপিও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হাজী জসিম উদ্দিন ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারি আবু এবং সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুর সঞ্চালনায় গণ অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূইয়া, মিসেস রাশেদা বেগম হীরা, লায়ন হারুন অর রশিদ, শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল ও সায়েদুল হক সাইদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কুমিল্লায় গনঅবস্থান কর্মসুচিতে মানুষের ঢল

আপডেট সময় : ০৮:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। বাংলাদেশ একটি স্বৈরশাসনের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বিএনপির ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই দেশের মানুষ সবকিছু ফিরে পাবে।

আজকে সাধারণ মানুষ বিএনপির আন্দোলনের অন্যতম সারথীতে পরিণত হয়েছে। কোথায় যাবে মানুষ, কার কাছে যাবে। সবকিছু কুক্ষিগত করে রেখেছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের পতনের ঘন্টা বেঁজে গেছে। জিয়া পরিবারের ওপর যে অন্যায় নির্যাতন চলছে এর জবাব এদেশের সাধারণ মানুষ দেবে। জিয়া পরিবার শেখ হাসিনার কাছে একটি ভয়ের নাম, একটি আতঙ্কের নাম।

কারণ শহীদ জিয়ার পরে আমরা খালেদা জিয়াকে নেতা নির্বাচন করেছি। আর দেশের মানুষ ভোট দিয়ে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী করেছেন খালেদা জিয়াকে। খালেদা জিয়ার পরে বিএনপির নেতৃত্ব কে দেবে ? এমন প্রশ্ন একজন নুন্যতম সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করলে উত্তর আসবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কিন্তু শেখ হাসিনার পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কে দেবে? আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনেও সে কথা তারা বলতে পারেনি। আওয়ামী লীগ করে অথবা সাধারণ কোন মানুষকে জিজ্ঞেস করলেও এর সঠিক উত্তর দিতে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের সব কিছুই বিদেশে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের কোনো বন্ধন নেই।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) কুমিল্লা টাউনহল মাঠে অনুষ্ঠিত গণ অবস্থান কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সকল নেতাকর্মীর নি:শর্ত মুক্তি ও বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে সারা দেশে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাংগঠনিক বিভাগ কুমিল্লায় এ গণঅবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১ টায় পবিত্র কোরআন তেলায়াতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।

কর্মসূচিতে কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গণ অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।

বেলা পৌনে তিনটায় শুরু হওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরির সময় যখন শেখ হাসিনার পাশে মতিউর রহমান নিজামী ও সালাউদ্দিন কাদেররা বসা থাকেন তখন তারা রাজাকার নয়, মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যান। আর বিএনপির পাশে মুক্তিযোদ্ধারা থাকলে তারা রাজাকার হয়ে যান।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আওয়ামী লীগের অনেকেই বলেন, জিয়া মুক্তিযুদ্ধ করে নাই। তাদের উদ্দেশে বলবো ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমিতে যারা সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে শেখ মুজিবই জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিলেন।

জিয়া যদি মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে থাকেন তাহলে কেন তাকে বীর উত্তম উপাধি দিলেন? এজন্য তো আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধুর মরোনত্তর বিচার করা উচিত।
বক্তব্যের শেষের দিকে তিনি কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৬ জানুয়ারি ১০ দফা দাবি আদায় এবং বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে সারাদেশে সকল মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌর সদরে সমাবেশ ও মিছিল করার আহবান জানান।

কর্মসূচি সফল করতে দেবিদ্বার এর গণ মানুষের নেতা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল আহসান মুন্সির নেতৃত্বে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপিও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হাজী জসিম উদ্দিন ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারি আবু এবং সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুর সঞ্চালনায় গণ অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূইয়া, মিসেস রাশেদা বেগম হীরা, লায়ন হারুন অর রশিদ, শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল ও সায়েদুল হক সাইদ প্রমুখ।