প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি’র চারটি পরীক্ষা স্থগিত

- আপডেট সময় : ০২:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২০ বার পড়া হয়েছে
মোঃআব্দুস সাওার, জেলা প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধিনে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষি ও রসায়ন বিষয়ের চারটি পরীক্ষা স্থগিত করেছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। তবে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো পরবর্তীতে খুব শীঘ্রই জানানো হবে।
বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর সকালে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনিবার্য কারণবশত চারটি পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানানো হয়েছে। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড সুএে জানা যায় রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ রাসেল, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক জোবায়ের হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা পায় উপজেলা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল কর্মকত্তা জানান কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে চলমান এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম, সচিব প্রফেসর মো. জহির উদ্দিন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা ভূরুঙ্গামারী যান। এসময় কেন্দ্র সচিবের আলমারি থেকে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষি ও রসায়ন এই চারটি পরীক্ষার প্রশ্ন পএ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরে উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক জোবায়েরকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করে থানায় নেওয়া হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা পায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি। এ ঘটনায় পরীক্ষা কমিটির ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিবসহ তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হামিদুল ও সোহেল নামে আরও দুই শিক্ষককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও উদ্ধার করা প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।