ষ্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জে যে কজন সৎ সাহসী ও নীতিবান সাংবাদিক রয়েছেন পি সি দাশ পীযূষ তাঁদের মধ্যে একজন। তিনি দীর্ঘ দিন যাবত সুনামের সহিত জেলা, উপজেলার বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশ করে আসছেন।
বর্তমানে তিনি দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর এর ষ্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি জেলার শাল্লা উপজেলা আনন্দপুর গ্রামের বহু মাদক মামলার অভিযুক্ত হেলেন রানী কে দিয়ে পি সি দাসের বিরুদ্ধে সাজানো, মিথ্যা বানোয়াট শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে ৬ থেকে ৭ জনের একটি মদ্যপায়ী চক্র। পরে শ্লীলতাহানির ভয় দেখিয়ে উক্ত চক্রের সদস্যরা উপজেলায় বসে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয় শেষ করতে বলে।
কিন্তু সৎ সাহসী সাংবাদিক পি সি দাস বলেন কিসের টাকা দিবো, আমি অপরাধী হলে মামলা করো এর সত্যতা বেড়িয়ে আসবে। কিন্তু না চক্রের অন্যতম সদস্য মদখোর মিহির রায় ও অজয় তালুকদার সহ অন্যরা টাকা নিতে মরিয়া হয়ে পরে।
এবিষয়ে সাংবাদিক পি সি দাস অবশ্য ৯ মার্চ শাল্লা থানায় মাদক ব্যবসায়ী হেলেন রানী, মিহির রায় সহ ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সেটি শুনে সেই নারীকে দিয়ে মিহির রায় গংরা সমাজে সাংবাদিকের সুনাম নষ্ট করার লক্ষে মাদক ব্যবসায়ীকে দিয়ে ১১ মার্চ অন্য একটি অভিযোগ করায়।
ঘটনা হলো সাংবাদিকের অভিযোগের অভিযুক্তরাই স্বাক্ষী মাদক ব্যবসায়ী হেলেন রানীর অভিযোগে। এবিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক পি সি দাসের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন খুনই দুঃখ জনক ও ভয়ানক ঘটনা আমার জীবনে কখনো এমন হয়নি ।
আমি তাদের মদ বিক্রি, মদখাওয়া, কাজ না করে সরকারের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে এমন বাজে মিত্যা সাজানো নাটক তৈরি করেছে বলে আমার ধারণা।
তিনি বলেন মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার চরিত্র, আর সেই চরিত্র নিয়ে সাজানো নাটক তৈরি করে আমাকে সমাজে ছোট করা এবং ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি ছিল তাদের লক্ষ্য।
মদখোর মিহির রায় সহ ৫/৬ জনের চক্রটি মাদক ব্যবসায়ী নারীকে দিয়ে তাদের শেখানো কথাগুলো বলে আমাকে ব্ল্যাকমিল করে অর্থ হাসিল করার চেষ্টায় তারা সফল হবেনা ।
এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছি তদন্তেই সত্যতা বেড়িয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস । তিনি বলেন যে বা যারা আমার চরিত্র নিয়ে সাজানো নাটক তৈরি করেছে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা বলে তিনি জানান।
এনিয়ে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম ২টি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান দিপু রঞ্জন দাস বলেন, পি সি দাশ পীযূষ অত্যন্ত সৎ দক্ষ ও সুনামধন্য একজন সাংবাদিক।
তিনি জানান উনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে সেটি আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। যারা অভিযোগ টি তুলেছে তারা নিজেরাই মদখোর ও মাদক ব্যবসায়ী।
আমি আমার কিছু বিশস্ত লোকজনের মাধ্যমে শুনেছি মাদকের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো সাংবাদিকে হেয় করার চেষ্টা করেছে চক্রটি। তিনি বলেন অভিযোগ হয়েছে তদন্তেই এর আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে তিনি জানান ।