জাজিরায় নিহত ৬ জনের পরিচয় মিলেছে

- আপডেট সময় : ০১:২৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে ছয় জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা সবাই নিহত হন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, অ্যাম্বুলেন্সের চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে আইল্যান্ডে ধাক্কা লেগে দ্রুতগতির গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতেই এত বড় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- দৈনিক নবচেতনা’র ব্যুরো প্রধান ও নিউজ পোর্টাল বিডি বুলেটিনের প্রতিনিধি মাসুদ রানা (৪০), স্বাস্থ্যকর্মী পটুয়াখালীর দশমিনা আদমপুর গ্রামের রাজ্জাক মল্লিকের ছেলে ফজলে রাব্বি (২৮), পটুয়াখালির বাউফল উপজেলার আনারসিয়া গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী লতিফ মল্লিকের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে লুৎফুন্নাহার লিমা (৩০), খুলনার দীঘলিয়ার ৬নং ওয়ার্ডের চন্দনিমহল গ্রামের কাওসার হাওলাদারের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৬) ও গাড়িচালক মাদারীপুর জেলার মোস্তফাপুর গ্রামের হিরু মৃধার ছেলে জিলানি (২৮)।
নিউজ পোর্টাল বিডি বুলেটিনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কাজী আফরোজ জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগী জাহানারা বেগমকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন মাসুদ রানা। জাহানারা তার পরিচিত।
কাজী আফরোজ আরো জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন, রাত ৩টার দিকে জাজিরায় পদ্মা সেতু টোলপ্লাজার কাছে গতিনিরোধক পার হতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন অ্যাম্বুলেন্সের চালক। এ সময় সেখানে থামিয়ে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাকের পেছনে সজোরে আছড়ে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই ওই ছয় জনের মৃত্যু হয়।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ মিয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, অ্যাম্বুলেন্সের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিল। এ কারণে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থামিয়ে রাখা ট্রাকের পেছনে আছড়ে পড়ে ছয় জন নিহত হয়। ঘটনার পরপরই ট্রাক রেখে পালিয়ে গেছে চালক ও হেলপার। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাসুদুল হাসান বলেন, দুর্ঘটনার পরে হাসপাতালে আনার আগেই সবার মৃত্যু হয়।