ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
ইউস্যাফের ঈদ আয়োজন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বরকামতা ইউনিয়নবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগ নেতা কালীপদ মজুমদারের অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরণ সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংঘর্ষে ২ জন নিহত আহত ২০ একজন গ্রেফতার ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এড. রফিকুল আলম চৌধুরী  ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমন ছাতকে খালের পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ বিক্রি করবো এমন বাবার মেয়ে আমি না : প্রধানমন্ত্রী ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিএস সুমন সরকার

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিউজ ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশন বলছে, অনেক প্রশ্ন ও আস্থা সঙ্কটের ঘাটতির মধ্যেও কিছু আস্থা অর্জন এগিয়েছে।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বাকি সময়ে সব দলের আস্থা অর্জন করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।

এ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবনে বুধবার রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়। অসুস্থ থাকায় উপস্থিত ছিলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তাই জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান রোডম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্য একটাই- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা।

তিনি বলেন, আমরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন এবং আমরা অনেক আস্থাশীলতার ঘাটতির মধ্যে আছি। আমিদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আমরা কিছুটা হলেও আগে থেকে আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি।

এ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে নিজেদের জবাবদিহিতা ও বিবেবেকর কাছে দায়বদ্ধতাও বাড়বে বলে উল্লেখ করেন এ নির্বাচন কমিশনার।

অনুষ্ঠানে রাশেদা সুলতানা এমিলি বলেন, পরিকল্পনা ধরেই এগিয়ে যাবো আমরা। সবার সহযোগিতা পেলে অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষেম হবো আমরা।

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানান, অংশীঝন সবার সহযোগিতা দরকার। বাস্তবভিত্তিক ও সময়ভিত্তিক এ রোডম্যাপ বাস্তবায়ন হলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছোনো যাবে।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে নির্বাচন কশিমনার মো. আলমগীর বলেন,এ কর্মপরিকল্পনায় সবার মতামত রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। যেসব বিষয় আমাদের আওতায় রয়েছে তা রাখা হয়েছে। তবে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সুপারিশগুলো রাখা হয় নি।

তিনি জানান, রোডম্যাপের চ্যালেঞ্জগুলো ধরে মোকাবেলা করে সব কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। ভোটের এখনও এক বছর চার মাস বাকি। অনেকে ইসি নিয়ে আস্থাহীনতায় থাকলেও আগামীতে কর্মকাণ্ড দেখে আস্থাশীল হবে।

ইভিএম ব্যবহার ও সিসি ক্যামেরা

প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসি টিভি স্থাপন করা। সর্বোচ্চ দেড়শ আসনের ইভিএমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মেট্রোপলিট ও জেলা সদরের আসনগুলায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

রোডম্যাপে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ও ১৯টি উত্তরণের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসির রোডম্যাপের সারসংক্ষেপ

>> আইন সংস্কার: ২০২২ অগাস্ট থেকে ২০২৩ ফেব্রুয়ারি

>> সংলাপ: ২০২২ মার্চ- ২০২২ ডিসেম্বর

>> সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস: ২০২৩ জানুয়ারি -২০২৩ জুন।

>> আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: অগাস্ট ২০২২ থেকে ২০২৩ অগাস্ট।

>> নতুন দল নিবন্ধন: ২০২২ সেপ্টেম্বর- ২০২৩ জুন

>> ভোটার তালিকা: ২০২২ হালনাগাদ শুরু মে, ২০২৩ মার্চে চূড়ান্ত প্রকাশ; তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সংসদীয় আসন অনুযায়ী ৩০০ এলাকার তালিকা প্রস্তুত।

>> ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ: ২০২৩ জুন-অগাস্ট ২০২৩; তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ।

>> প্রশিক্ষণ: ২০২৩ জানুয়ারি থেকে তফসিল ঘোষণার পরেও চলবে।

>> পযবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন: জানুয়ারি ২০২৩ থেকে অগাস্ট ২০২৩

আগামী বছর নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়রি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নির্বাচন ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিবের সভাপতিত্বে ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশন বলছে, অনেক প্রশ্ন ও আস্থা সঙ্কটের ঘাটতির মধ্যেও কিছু আস্থা অর্জন এগিয়েছে।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বাকি সময়ে সব দলের আস্থা অর্জন করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।

এ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবনে বুধবার রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়। অসুস্থ থাকায় উপস্থিত ছিলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তাই জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান রোডম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্য একটাই- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা।

তিনি বলেন, আমরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন এবং আমরা অনেক আস্থাশীলতার ঘাটতির মধ্যে আছি। আমিদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আমরা কিছুটা হলেও আগে থেকে আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি।

এ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে নিজেদের জবাবদিহিতা ও বিবেবেকর কাছে দায়বদ্ধতাও বাড়বে বলে উল্লেখ করেন এ নির্বাচন কমিশনার।

অনুষ্ঠানে রাশেদা সুলতানা এমিলি বলেন, পরিকল্পনা ধরেই এগিয়ে যাবো আমরা। সবার সহযোগিতা পেলে অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষেম হবো আমরা।

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানান, অংশীঝন সবার সহযোগিতা দরকার। বাস্তবভিত্তিক ও সময়ভিত্তিক এ রোডম্যাপ বাস্তবায়ন হলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছোনো যাবে।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে নির্বাচন কশিমনার মো. আলমগীর বলেন,এ কর্মপরিকল্পনায় সবার মতামত রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। যেসব বিষয় আমাদের আওতায় রয়েছে তা রাখা হয়েছে। তবে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সুপারিশগুলো রাখা হয় নি।

তিনি জানান, রোডম্যাপের চ্যালেঞ্জগুলো ধরে মোকাবেলা করে সব কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। ভোটের এখনও এক বছর চার মাস বাকি। অনেকে ইসি নিয়ে আস্থাহীনতায় থাকলেও আগামীতে কর্মকাণ্ড দেখে আস্থাশীল হবে।

ইভিএম ব্যবহার ও সিসি ক্যামেরা

প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসি টিভি স্থাপন করা। সর্বোচ্চ দেড়শ আসনের ইভিএমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মেট্রোপলিট ও জেলা সদরের আসনগুলায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

রোডম্যাপে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ও ১৯টি উত্তরণের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসির রোডম্যাপের সারসংক্ষেপ

>> আইন সংস্কার: ২০২২ অগাস্ট থেকে ২০২৩ ফেব্রুয়ারি

>> সংলাপ: ২০২২ মার্চ- ২০২২ ডিসেম্বর

>> সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস: ২০২৩ জানুয়ারি -২০২৩ জুন।

>> আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: অগাস্ট ২০২২ থেকে ২০২৩ অগাস্ট।

>> নতুন দল নিবন্ধন: ২০২২ সেপ্টেম্বর- ২০২৩ জুন

>> ভোটার তালিকা: ২০২২ হালনাগাদ শুরু মে, ২০২৩ মার্চে চূড়ান্ত প্রকাশ; তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সংসদীয় আসন অনুযায়ী ৩০০ এলাকার তালিকা প্রস্তুত।

>> ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ: ২০২৩ জুন-অগাস্ট ২০২৩; তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ।

>> প্রশিক্ষণ: ২০২৩ জানুয়ারি থেকে তফসিল ঘোষণার পরেও চলবে।

>> পযবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন: জানুয়ারি ২০২৩ থেকে অগাস্ট ২০২৩

আগামী বছর নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়রি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নির্বাচন ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিবের সভাপতিত্বে ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।