ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
ইউস্যাফের ঈদ আয়োজন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বরকামতা ইউনিয়নবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগ নেতা কালীপদ মজুমদারের অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরণ সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংঘর্ষে ২ জন নিহত আহত ২০ একজন গ্রেফতার ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এড. রফিকুল আলম চৌধুরী  ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমন ছাতকে খালের পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ বিক্রি করবো এমন বাবার মেয়ে আমি না : প্রধানমন্ত্রী ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিএস সুমন সরকার

আরও কমল রিজার্ভ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২ ২০১ বার পড়া হয়েছে

আরও কমল রিজার্ভ, গতকাল বিক্রি ৯৬ মিলিয়ন ডলার

দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিউজ ডেস্কঃ বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিতই ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ধারাবাহিকভাবে কমছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

বুধবার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে দিনশেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন (তিন হাজার ৯৪৯ কোটি) ডলার।

প্রতি মাসে আট বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসাবে এই অর্থ দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। রিজার্ভ সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে গত বছরের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার হয়।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার আর শেষ দিন ৩০ জুন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।

একদিকে ধারাবাহিকভাবে প্রবাসী আয় কমা, অন্যদিকে অস্বাভাবিক হারে আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশে মার্কিন ডলারের চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে দিন দিন বাড়ছে দাম। অপরদিকে ডলারের বিপরীতে পতন হচ্ছে টাকার মান। এ জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিনিয়ত দামও বাড়িয়েছে। এরপরও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডলারের দাম।

এদিন সরকারি আমদানি বিল মেটাতে উল্লেখিত দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ম অনুযায়ী এটিই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।

একদিন আগেও এ দাম ছিল ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। মে মাসের শুরুর দিকে এ দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। সে হিসাবে দেড় মাসের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ৮ টাকা ২৫ পয়সা। তবে খোলাবাজারে এক ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১১১ টাকায়। সোমবার ছিল ১০৬ থেকে ১০৮ টাকা।

জানা যায়, বুধবার ব্যাংকে নগদ ডলার ১০৬ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এর আগে গত রোববার খোলাবাজারে দর ছিল ১০৫ টাকা।

এ বাজারে ডলারের দাম প্রথমবারের মতো ১০০ টাকার ঘর পেরিয়ে যায় গত ১৭ মে। এরপর আবার কমে আসে। ১৭ জুলাই ফের ১০০ টাকা অতিক্রম করে।

মঙ্গলবার সব রেকর্ড ভেঙে খোলা বাজারে নগদ প্রতি ডলার বিক্রি হয় ১১২ টাকায়। তবে বুধবার কিছুটা কমে ১০৯ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হয়।

গত কিছুদিন ধরে খোলা বাজারে বেশ বড় অঙ্কের ডলার কেনার চাহিদা তাড়ছে, যা মানুষের ব্যক্তিগত বিদেশ ভ্রমণের স্বাভাবিক চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, এত ডলার যাচ্ছে কোথায়, ডলার কি পাচার হচ্ছে? পাচারের বিষয়ে সাম্প্রতিক কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া না গেলেও বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে কিছু মানুষ ডলার কিনছে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।

২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

প্রতিনিয়ত ডলার বাজারের ওঠা-নামা, চাহিদা বৃদ্ধি, সরবরাহ সংকট ও এলসি পেমেন্ট বাধাগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আরও কমল রিজার্ভ!

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

নিউজ ডেস্কঃ বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিতই ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ধারাবাহিকভাবে কমছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

বুধবার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে দিনশেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন (তিন হাজার ৯৪৯ কোটি) ডলার।

প্রতি মাসে আট বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসাবে এই অর্থ দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। রিজার্ভ সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।

পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে গত বছরের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার হয়।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার আর শেষ দিন ৩০ জুন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।

একদিকে ধারাবাহিকভাবে প্রবাসী আয় কমা, অন্যদিকে অস্বাভাবিক হারে আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশে মার্কিন ডলারের চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে দিন দিন বাড়ছে দাম। অপরদিকে ডলারের বিপরীতে পতন হচ্ছে টাকার মান। এ জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিনিয়ত দামও বাড়িয়েছে। এরপরও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডলারের দাম।

এদিন সরকারি আমদানি বিল মেটাতে উল্লেখিত দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ম অনুযায়ী এটিই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।

একদিন আগেও এ দাম ছিল ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। মে মাসের শুরুর দিকে এ দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। সে হিসাবে দেড় মাসের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ৮ টাকা ২৫ পয়সা। তবে খোলাবাজারে এক ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১১১ টাকায়। সোমবার ছিল ১০৬ থেকে ১০৮ টাকা।

জানা যায়, বুধবার ব্যাংকে নগদ ডলার ১০৬ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এর আগে গত রোববার খোলাবাজারে দর ছিল ১০৫ টাকা।

এ বাজারে ডলারের দাম প্রথমবারের মতো ১০০ টাকার ঘর পেরিয়ে যায় গত ১৭ মে। এরপর আবার কমে আসে। ১৭ জুলাই ফের ১০০ টাকা অতিক্রম করে।

মঙ্গলবার সব রেকর্ড ভেঙে খোলা বাজারে নগদ প্রতি ডলার বিক্রি হয় ১১২ টাকায়। তবে বুধবার কিছুটা কমে ১০৯ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হয়।

গত কিছুদিন ধরে খোলা বাজারে বেশ বড় অঙ্কের ডলার কেনার চাহিদা তাড়ছে, যা মানুষের ব্যক্তিগত বিদেশ ভ্রমণের স্বাভাবিক চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, এত ডলার যাচ্ছে কোথায়, ডলার কি পাচার হচ্ছে? পাচারের বিষয়ে সাম্প্রতিক কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া না গেলেও বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে কিছু মানুষ ডলার কিনছে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।

২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

প্রতিনিয়ত ডলার বাজারের ওঠা-নামা, চাহিদা বৃদ্ধি, সরবরাহ সংকট ও এলসি পেমেন্ট বাধাগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।