ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
লালমনিরহাটে চাউলের বস্তায় মিললো ৩৮ লাখ টাকা কালীগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন শিক্ষার্থীরাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের কারিগর -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি দোয়ারাবাজারে বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন কালীগঞ্জে মসজিদ, মন্দির ও শশ্মানে আর্থিক সহায়তা প্রদান প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্বপ্নের দিরাই শাল্লা সড়কের কাজ উদ্বোধন দোয়ারাবাজারে মৎস্য ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট উপজেলাজুড়ে মাছের জন্য হাহাকার কালিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদ্‌যাপন নবীনগর স্কুলের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করলেন প্রধান শিক্ষক! মোংলায় বজ্রপাতে নিহত ১, আহত ১

শোকাবহ মাস আগস্ট শুরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

শোকাবহ মাস আগস্ট শুরু

দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্রঃ শুরু হলো শোকের মাস। আগস্ট মাস এলেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে বরেণ্য কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘আগস্ট শোকের মাস, কাঁদো’ কবিতার এই অংশটি। এই মাসেই বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।

বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।দ্য টাইমস অব লন্ডন’ এর ১৯৭৫ সালের হয১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।

একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নরপিশাচ রূপি খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়।১৯৯৬ সালে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে ২১ বছরের কলঙ্ক মুছনে বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সেনাবাহিনীর একদল বিপদগামী সদস্যের উচ্চাকাঙ্খা ও দেশী বিদেশি ষড়যন্ত্রে হত্যা করা হয় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, তার সহধর্মিনী, তিন ছেলে, দুই পুত্রবধুসহ ১৮ জনকে। পঁচাত্তরের এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের পর আইন করে বন্ধ রাখা হয় বিচার প্রক্রিয়াও ।

২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট জাতির জনকের কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল।

ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এ ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এডভোকেট জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী, আওয়ামী লীগের সেই সময়ের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছিলেন।

এছাড়াও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট আধা ঘণ্টার ব্যবধানে সারা দেশের ৬৩ জেলার ৩০০টি স্থনে ৫০০টির ও বেশি সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

এই মুহূর্তে ওই সব ষড়যন্ত্রকারী নিজেদের সাময়িকভাবে গুটিয়ে রেখেছে। সুযোগ পেলেই তারা যেকোনো সময় তাদের ছোবল ছুড়ে দিতে পারে।

সে জন্য দেশের আপামর জনসাধারণের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ অবস্থান তৈরি রাখার প্রয়োজন রয়েছে। আবার কোনো আগস্ট যেন ফিরে না আসে, তা নিশ্চিত করতেই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের হোতাদের চিহ্নিত করা এবং তাদের শিকড় সমাজ ও দেশ থেকে উচ্ছেদ করা আজ সময়েরই দাবি।

শোকের এই আগস্ট মাসকে যথাযথ মর্যাদায় শোকাবহ পরিবেশে পালন করবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ আরোও অনেক সংগঠনের মাসব্যাপী ঘোষিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো এসব কর্মসূচি দিয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শোকাবহ মাস আগস্ট শুরু

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্রঃ শুরু হলো শোকের মাস। আগস্ট মাস এলেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে বরেণ্য কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘আগস্ট শোকের মাস, কাঁদো’ কবিতার এই অংশটি। এই মাসেই বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।

বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।দ্য টাইমস অব লন্ডন’ এর ১৯৭৫ সালের হয১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।

একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নরপিশাচ রূপি খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়।১৯৯৬ সালে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে ২১ বছরের কলঙ্ক মুছনে বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সেনাবাহিনীর একদল বিপদগামী সদস্যের উচ্চাকাঙ্খা ও দেশী বিদেশি ষড়যন্ত্রে হত্যা করা হয় নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, তার সহধর্মিনী, তিন ছেলে, দুই পুত্রবধুসহ ১৮ জনকে। পঁচাত্তরের এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের পর আইন করে বন্ধ রাখা হয় বিচার প্রক্রিয়াও ।

২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট জাতির জনকের কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল।

ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এ ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এডভোকেট জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী, আওয়ামী লীগের সেই সময়ের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছিলেন।

এছাড়াও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট আধা ঘণ্টার ব্যবধানে সারা দেশের ৬৩ জেলার ৩০০টি স্থনে ৫০০টির ও বেশি সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

এই মুহূর্তে ওই সব ষড়যন্ত্রকারী নিজেদের সাময়িকভাবে গুটিয়ে রেখেছে। সুযোগ পেলেই তারা যেকোনো সময় তাদের ছোবল ছুড়ে দিতে পারে।

সে জন্য দেশের আপামর জনসাধারণের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ অবস্থান তৈরি রাখার প্রয়োজন রয়েছে। আবার কোনো আগস্ট যেন ফিরে না আসে, তা নিশ্চিত করতেই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের হোতাদের চিহ্নিত করা এবং তাদের শিকড় সমাজ ও দেশ থেকে উচ্ছেদ করা আজ সময়েরই দাবি।

শোকের এই আগস্ট মাসকে যথাযথ মর্যাদায় শোকাবহ পরিবেশে পালন করবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ আরোও অনেক সংগঠনের মাসব্যাপী ঘোষিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো এসব কর্মসূচি দিয়েছে।