ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
ইউস্যাফের ঈদ আয়োজন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বরকামতা ইউনিয়নবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগ নেতা কালীপদ মজুমদারের অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরণ সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংঘর্ষে ২ জন নিহত আহত ২০ একজন গ্রেফতার ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এড. রফিকুল আলম চৌধুরী  ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমন ছাতকে খালের পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ বিক্রি করবো এমন বাবার মেয়ে আমি না : প্রধানমন্ত্রী ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিএস সুমন সরকার

ব্যাংকার ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ছেলেরা চিকিৎসার কথা বলে, রাস্তায় ফেলে দিল মাকে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১১৯ বার পড়া হয়েছে

ব্যাংকার ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ছেলেরা চিকিৎসার কথা বলে, রাস্তায় ফেলে দিল মাকে

দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নে’র রশ্মিমপুর গ্রামের মরিয়ম বেগম নামে এক শতবর্ষী বৃদ্ধা মাকে সন্তান’রা গাড়ি থেকে ফেলে দিলেন একটি বাজারের পাশে। এলাকাবাসী তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে’ন।

ডাক্তার, ব্যাংকার, ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যবসায়ীসহ ওই বৃদ্ধা মায়ে’র ৮ ছেলে ও মেয়েদের সবাই সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। তারপরও কোনো ছেলের বাড়িতে’ই তার মাথা গুঁজবার ঠাঁই হলো না।

তার পিতার দেওয়া ১৫ বিঘা জমি সন্তান’দের লিখে না দেওয়ায় এ পরিণতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গ্রামবাসী। শেষ পর্যন্ত তার দায়িত্ব নিলেন গ্রাম’বাসী।

সরেজ’মিন জানা যায়, ওই গ্রামের প্রয়াত মো. আসুরুদ্দিন সরকার নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন। তাঁত’শিল্পসহ কয়েকশ বিঘা জমি ছিল আসুরুদ্দিন সরকারের।

তাই একমাত্র মেয়ে মরিয়ম বেগমে’র সুখের কথা ভেবে তাকে ১৫ বিঘা জমি লিখে দিয়ে বিলাস’বহুল একটি বাড়ি নির্মাণ করে দিয়ে বিয়ে দেন। এরপর জামাতা মো. আব্দুস সালাম’কে ঘরজামাই হিসেবে বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত করেন।

পরবর্তীতে মরিয়ম বেগম ৬ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানে’র জননী হন। প্রত্যেক সন্তানকেই তিনি লেখাপড়া শিখিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। বড়ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আক্তারু’জ্জামান একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। ছোট ছেলে ডা. মো. হুমায়ুন কবীর বিসিএস কর্মকর্তা (ডাক্তার)।

তিনি একটি সরকারি আবা’সিক হাসপাতালে কর্মরত। সাখা’ওয়াত হোসেন সাকী ও আব্দুল্লাহেল বাকী নামকরা ব্যবসায়ী ও আলমগীর হোসেন বিদেশে ভালো বেতনে চাকরি করেন।

তাদের কারও সংসারে কোনো অভাব অনটন নেই। শুধু বৃদ্ধা মাকে ভরণপোষণ করতে যেন তাদের অভাবের শেষ নেই। ক্ষুধার জ্বালায় সদা ছট’ফট করেন এই বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম। ক্ষুধার যন্ত্রণা মেটাতে ঘুরে বেড়ান এদিক-সেদিক। না খেয়ে তার বাকশক্তি হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়ে গেছে।

সন্তান’দের কাছে বিষয়টি বারবার বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই শতবর্ষী বৃদ্ধা মাকে চিকিৎসার কথা বলে গাড়িতে তুলে স্থানীয় বঙ্গবা’জারের পাশে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে যায়।

তার গোঙানির শব্দ পেয়ে পথচারীরা তাকে উদ্ধা’র করে স্থানীয় মো. আব্দুল লতিফের বাড়িতে নিয়ে সেবা-শুশ্রূষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন’।

বৃদ্ধার ছেলে মো. আলম’গীর হোসেন বলেন, আমার মায়ের অনেক বয়স হয়েছে। তার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আমাদের নিয়ে এমন মিথ্যা’চার করছেন। আমরা তাকে যথেষ্ট ভরণ’পোষণ দিচ্ছি ও সেবাযত্ন করছি।

মো. আব্দুল লতিফ নামে এক গ্রাম’বাসী বলেন, বৃদ্ধার ছেলেরা যদি তার এত ভরণ’পোষণ দিচ্ছে ও সেবাযত্ন করছে তাহলে তার এ করুণদশা কেন? শুধু তাই নয়, গ্রামবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে স্থানীয় বঙ্গ’বাজারের পাশের রাস্তা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন কেন?

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ব্যাংকার ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ছেলেরা চিকিৎসার কথা বলে, রাস্তায় ফেলে দিল মাকে

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নে’র রশ্মিমপুর গ্রামের মরিয়ম বেগম নামে এক শতবর্ষী বৃদ্ধা মাকে সন্তান’রা গাড়ি থেকে ফেলে দিলেন একটি বাজারের পাশে। এলাকাবাসী তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে’ন।

ডাক্তার, ব্যাংকার, ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যবসায়ীসহ ওই বৃদ্ধা মায়ে’র ৮ ছেলে ও মেয়েদের সবাই সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। তারপরও কোনো ছেলের বাড়িতে’ই তার মাথা গুঁজবার ঠাঁই হলো না।

তার পিতার দেওয়া ১৫ বিঘা জমি সন্তান’দের লিখে না দেওয়ায় এ পরিণতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গ্রামবাসী। শেষ পর্যন্ত তার দায়িত্ব নিলেন গ্রাম’বাসী।

সরেজ’মিন জানা যায়, ওই গ্রামের প্রয়াত মো. আসুরুদ্দিন সরকার নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন। তাঁত’শিল্পসহ কয়েকশ বিঘা জমি ছিল আসুরুদ্দিন সরকারের।

তাই একমাত্র মেয়ে মরিয়ম বেগমে’র সুখের কথা ভেবে তাকে ১৫ বিঘা জমি লিখে দিয়ে বিলাস’বহুল একটি বাড়ি নির্মাণ করে দিয়ে বিয়ে দেন। এরপর জামাতা মো. আব্দুস সালাম’কে ঘরজামাই হিসেবে বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত করেন।

পরবর্তীতে মরিয়ম বেগম ৬ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানে’র জননী হন। প্রত্যেক সন্তানকেই তিনি লেখাপড়া শিখিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। বড়ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আক্তারু’জ্জামান একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। ছোট ছেলে ডা. মো. হুমায়ুন কবীর বিসিএস কর্মকর্তা (ডাক্তার)।

তিনি একটি সরকারি আবা’সিক হাসপাতালে কর্মরত। সাখা’ওয়াত হোসেন সাকী ও আব্দুল্লাহেল বাকী নামকরা ব্যবসায়ী ও আলমগীর হোসেন বিদেশে ভালো বেতনে চাকরি করেন।

তাদের কারও সংসারে কোনো অভাব অনটন নেই। শুধু বৃদ্ধা মাকে ভরণপোষণ করতে যেন তাদের অভাবের শেষ নেই। ক্ষুধার জ্বালায় সদা ছট’ফট করেন এই বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম। ক্ষুধার যন্ত্রণা মেটাতে ঘুরে বেড়ান এদিক-সেদিক। না খেয়ে তার বাকশক্তি হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয়ে গেছে।

সন্তান’দের কাছে বিষয়টি বারবার বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই শতবর্ষী বৃদ্ধা মাকে চিকিৎসার কথা বলে গাড়িতে তুলে স্থানীয় বঙ্গবা’জারের পাশে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে যায়।

তার গোঙানির শব্দ পেয়ে পথচারীরা তাকে উদ্ধা’র করে স্থানীয় মো. আব্দুল লতিফের বাড়িতে নিয়ে সেবা-শুশ্রূষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন’।

বৃদ্ধার ছেলে মো. আলম’গীর হোসেন বলেন, আমার মায়ের অনেক বয়স হয়েছে। তার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আমাদের নিয়ে এমন মিথ্যা’চার করছেন। আমরা তাকে যথেষ্ট ভরণ’পোষণ দিচ্ছি ও সেবাযত্ন করছি।

মো. আব্দুল লতিফ নামে এক গ্রাম’বাসী বলেন, বৃদ্ধার ছেলেরা যদি তার এত ভরণ’পোষণ দিচ্ছে ও সেবাযত্ন করছে তাহলে তার এ করুণদশা কেন? শুধু তাই নয়, গ্রামবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে স্থানীয় বঙ্গ’বাজারের পাশের রাস্তা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন কেন?