“ফুল” ফাইয়াজ ইসলাম ফাহিম
হে ফুল নিজে কে জড়িয়ে রেখ না
রাঙিয়ে দাও মাতিয়ে দাও এ ধরা,
পাপড়ি জড়িয়ে নিজেকে আর কত লুকিয়ে রাখবে
তোমার শরীর মধু দিয়ে টইটম্বুর!
অনেক মাছি, অনেক ওলি গুণগুণ করছে
তোমার চারপাশে মধু খাওয়ার আশে যারে- তারে খেতে দিও না।
মাছি তোমার শরীরে হুল ঢুকালে
তোমার অঙ্গ বিপর্যয় হবে ঘা হবে তোমার মুধু পানসে হবে!
তবে মাছিকে মধু খেতে দিও না তুমি তো জান মাছি নর্দমায় সৃষ্টি
কালো মাছি,নীল মাছি কোনো মাছিকে তোমার মধু খেতে দিও না।
অনেক অলি গুগগুণ করছে,
কারো হুল ছোট, কারো হুল বড় কোন কোন ওলি স্বাস্থ্যবান,
তবে যারে খুশি সেই ওলিরে তোমার মধু খেতে দিবে,
যে অলিরে সইতে পারবে বইতে পারবে
যে অলির হুলের ব্যথা সহ্য করতে পারবে তারে মধু খেতে দিও?
নিজেকে পাপড়ি দিয়ে ঢেকে রেখে কি করবে অনর্থক
ওলিদের কষ্ট দিও না!
শুধু মধু গুলো নষ্ট করে কি করবে
বিধাতার দান, খেতে দিও তোমার মনের অলিকে যে তোমারে বুঝবে
আহো- রাত্র যে তোমার মধুর প্রতি খেয়াল রাখবে।
যে অলি তোমায় গান শুনাবে ভালবাসার কাব্য বলবে
তোমার কথায় চলবে,তোমার রুপে মাতোয়ারা হবে
সেই অলিকে মধু খেতে দিও?
তবে সব অলিরে মধু খেতে দিও না
তখন একেবারেই অসহায় হয়ে পড়বে
মধু শূন্যতা রোগে ভুগবে!
পাপড়ি তোমার কুঁকড়ে যাবে,
তখন কোন অলি কেন!
একটি মাছিও গুন গুন করবে না তোমার চারপাশে
তখন বড্ড অসহায় হয়ে পড়বে!
তখন আর মধু সঞ্চার করতে পারবে না
আ-জীবনের মতো হারিয়ে যাবে এ ধরা থেকে…