পি সি দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জ মরমি কবি হাছনরাজার ১৬৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য যাদুঘর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, হাছন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান জয়নুল জাকেরিন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন, সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ মাশহুদ চৌধুরী, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, পরিবেশ আন্দোলন কর্মী আব্দুল করিম কিম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাছন রাজা ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক সাজাউর রেজা চৌধুরী সুমন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী এবং সঞ্চালনা করেন দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী। ক গ্রুপে হাছন রাজার গানের প্রতিযোগিতায় ১ম হয়েছেন আহমদ মাসকুরা সুহিতা, ২য় অর্চি দে, ৩য় সপ্তর্ষি রায়। খ গ্রুপে ১ম বিজয়ী মো কামরুল হাসান রাজ, ২য় দেবশ্রী রায় তালুকদার, ৩য় সপ্তদীপা চৌধুরী।
গ গ্রুপে ১ম বিজয়ী অরুনিমা দাশ, ২য় শুভ্রা তালুকদার, ৩য় অদিতি দাস তিথি। ঘ গ্রুপে ১ম বিজয়ী রেদুয়ান ইসলাম হৃদয়, ২য় অয়ন চৌধুরী, ৩য় নীল কান্ত আচায্যর্। দলীয় গান (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) গ্রুপে ১ম স্থান সরকারি এস সি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ২য় সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ৩য় ড্যাফোডিল কিন্ডার গার্ডেন।
সাংস্কৃতিক সংগঠন গ্রুপে ১ম স্বপ্নাদর্শ সুনামগঞ্জ, ২য় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ৩য় লোকদল শিল্পীগোষ্ঠী। হাছন রাজার গানের সাথে নৃত্য প্রতিযোগিতায় ক গ্রুপে ১ম তাসফিয়া মুনতাহা তানিশা, যৌথভাবে ২য় অনন্যা রায় পিউ ও নাবিহা তাহসিন নোভা, ৩য় অহনা রায় তালুকদার।
খ গ্রুপে ১ম মৌমিতা বিশ্বাস, ২য় তুষ্টি তালুকদার। হাছন রাজার ছবি বা সৃষ্টিকর্ম নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ক গ্রুপে ১ম এস এম আবু নাঈম, খ গ্রুপে যৌথভাবে ১ম হয়েছে প্রজ্জল চৌধুরী ও তাসফিয়া মুনতাহা তানিশা, যৌথভাবে ২য় উম্মে হানী জান্নাত ও আহমদ মাসহুফা সুহিতা, যৌথভাবে ৩য় অহনা জামান রোদেলা ও অঙ্কিতা দে।
গ গ্রুপে যৌথভাবে ১ম সুস্মিতা দে ও পর্ব তালুকদার, ২য় বৃষ্টি সরকার এবং ৩য় হয়েছেন মুন্নী আক্তার। প্রসঙ্গত, হাসন রাজার গবেষণা—সাধনা ও শিল্পকর্ম ছিল গণ—কল্যাণমুখী, তিনি বিখ্যাত জমিদার ছিলেন, আবার সুরের সাধকও ছিলেন। মরমি এই কবি নিজের সৃষ্টিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দাঁড় করিয়ে গেছেন।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ১৯২৫ সালে কলকাতায় এবং ১৯৩৩ সালে লন্ডওনর হিবার্ট বক্তৃতায় হাসন রাজার দুটি গানরে প্রশংসা করছেলিনে। ১৮৫৪ সালের সালের ২১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের লক্ষণশ্রী’র ধনাঢ্য জমিদার পরিবারে জন্ম। ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি।