সর্বশেষ ::
ময়লার ভিরা থেকে উদ্ধার নবজাতককে দেখতে হাসপাতালে উপজেলা চেয়ারম্যান দম্পতি

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ১২:৪৫:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১১৯ বার পড়া হয়েছে
মোঃ বিপুল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ভালোবাসা দিবসের দিনে অর্থাৎ ১৪ ই ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট শহরে পৌরসভা এলাকার একটি ময়লার স্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার নবজাতক কন্যা শিশুর সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ও তার সহধর্মীনী নুরুন্নাহার বেগম লিজা।
বর্তমানে শিশুটি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। নবজাতকটিকে উদ্ধার করা এসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন কালীবাড়ি (পুরান বাজার) এলাকার একটি ডাস্টবিনে জীবিত অবস্থায় শিশুটি পড়ে ছিল। নবজাতকটিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতক ওয়ার্ডে পাঠায়।
১৮ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম লিজা হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে যান।এবং উদ্ধার হওয়া সেই শিশুটির সার্বিক খবর নেন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শিশুর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে চিকিৎসা বিষয়ে কথা বলে শিশুটির বর্তমান প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ তাদের হাতে তুলে দেন।
শিশুর প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ হস্তান্তর করার বিষয়ে চেয়ারম্যানের শুভাকাঙ্ক্ষীগন জানান এতিম এই শিশুটিকে পরম মমতায়,মাতৃস্নেহে আদর বুলিয়ে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সহধর্মিনী লিজা জামান।পিতা মাতার স্নেহ বঞ্চিত শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার সাথে মায়ের ভাষায় আলাপচারিতা ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। শিশুর পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা কমকর্তাদের আন্তরিকতা দেখে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই দম্পতি।
ভালোবাসা দিবসের দিনে উদ্ধার হওয়া সেই কন্যা শিশুটিকে অনেকে দত্তক নিতে প্রশাসনের দারস্থ হলেও বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি তারা। তবে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার সহধর্মিণী শিশুটির সহযোগিতায় এগিয়ে আসায় উপজেলা জুড়ে সকলের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম জানান,১৪ ফেব্রুয়ারী সকালে উদ্ধার হওয়া নবজাতক বর্তমানে সদর হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। আমরা চেষ্টা করছি নবজাতকের পরিচয় জানার। পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদিও অনেকেই নবজাতক শিশুটিকে দত্তক নেয়ার জন্য বলছে।