সিরাজগঞ্জে তাঁত ছাড়া ঋণ প্রদানের অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৬:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে
অভিযোগ রয়েছে, সঠিক তাঁতীদের না দিয়ে যাদের তাঁত নেই সেই সকল তাঁত শ্রমিক বা সয়দাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের প্রাথমিক (নতুন) তাঁতী সমিতির সদস্যদের মাঝে ঋণ দিয়েছে। প্রত্যেক জনের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এই ঋণ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত লিয়াজু অফিসার ইমরানুল হক।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের গাছাবাড়ী এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাঁত নেই তবুও ১ লক্ষ টাকা ঋণ পেয়েছে গাছাবাড়ী গ্রামের মো. হবি খান ছেলে মো. সেলিম মিয়া, জুরান আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন, আজাদ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম, জুরান আলীর ছেলে আজম সেখ, খুদু খাঁর ছেলে শহিদুল ইসলাম ও পরস আলীর ছেলে আব্দুল রাজ্জাক।
তাঁত নেই তবুও কিভাবে ঋণ পেয়েছেন তাদের নিকট জানতে চাইলে সেলিম মিয়া, জয়নাল আবেদীন, জাহিদুল ইসলাম, আজম সেখ ও আব্দুল রাজ্জাক বলেন, অনেক আগে আমাদের তাঁত ছিলো। আমাদের সব তাঁত বিক্রি করে দিয়েছি। কোন উপায় না পেয়ে ভারপ্রাপ্ত লিয়াজু অফিসার ইমরানুল হকের মাধ্যমে আমরা এই ঋণ পেয়েছি। সেই জন্য কেউ ৪ হাজার, কেউ কেউ ৫ হাজার টাকা দিয়ে এই ঋণ নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, ঋণ বঞ্চিত প্রকৃত তাঁত গাছাবাড়ী গ্রামের লিটন সরকার জানান, আমার ১২টি তাঁত রয়েছে। কিন্তু আমাকে ঋণ দেওয়া হয়নি। প্রকৃত তাঁতীদের ঋণ না দিয়ে যাদের তাঁত নেই টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ঋণ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত লিয়াজু অফিসার ইমরানুল হক।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে হস্তচালিত তাঁতের জায়গায় পাওয়ারলুম চলে আসায় অনেক তাঁতি ঝড়ে পড়েছে। তাঁতি পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে অন্য পেশায় যাচ্ছে। তবে তাঁতি কমলেও তাঁতের সংখ্যা কমেছে। যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, তাতে তাঁতিদের আর পেশা ছেড়ে যাওয়ার অবস্থা নেই। যাঁরা ছেড়ে গেছেন, তাঁরাও ফিরছেন। তাঁত বোর্ড কেন তাঁত-তাঁতিদের ধরে রাখতে পারছে না এ বিষয়ে বাতাঁবোর যে কার্যক্রম, তা অনেকটাই প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টার সিরাজগঞ্জ এর ভারপ্রাপ্ত লিয়াজু অফিসার ইমরানুল হক জানান, ঋণ বিতরণে কোন টাকা নেওয়া হয়নি। বর্তমানে আমি আর ভারপ্রাপ্ত লিয়াজু অফিসার হিসেবে নেই। নতুন লিয়াজু অফিসার এসেছে আপনারা তার সাথে কথা বলেন।
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বেসিক সেন্টার সিরাজগঞ্জ এর লিয়াজু অফিসার (সিরাজগঞ্জ সদর ও বেলকুচি দায়িত্ব) মিঠুন কুমার সরকার বলেন, আমি গত ৪দিন ধরে এখানে যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আপনারা বললে, বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখছি।