নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আংশিক কমিটি প্রকাশ করা হলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি সংগঠনটির। সাত সদস্যের কমিটির প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রুমিকে নিয়ে ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
ছাত্রদল কর্মীদের দাবি, মোস্তাফিজুর রহমান রুমী চাঁদাবাজ ও ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে অনুপ্রবেশকারী। জবি ছাত্রলীগের শরীফ-সিরাজ কমিটির প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান রিয়ানের কর্মী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত ছিল রুমী। রিয়ানের সাথে পুরান ঢাকার কোর্ট এলাকায় চাঁদাবাজি করতে যেয়ে রুমী পুলিশের কাছে ধরা পরে এক মাস জেলও খাটে ।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মামলার এক নম্বর আসামী ছিল মোস্তাফিজুর রহমান রুমীএবং মেহেদী হাসান রিয়ান সাত নাম্বার আসামী ।
২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এমন স্বপ্নে ছাত্রলীগ ছেড়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা বর্তমান জবি শাখা কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলামের হাত ধরে ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করে এই রুমী।
জুন মাসের ত্রিশ তারিখে মোঃ আসাদুজ্জামান আসলামকে সভাপতি ও সুজন মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক করে জবি ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
এরপর ২৫ জুলাই মোস্তাফিজুর রহমান রুমীকে প্রচার সম্পাদক ও সাখাওয়াতুল ইসলাম পরাগকে দপ্তর সম্পাদক করে প্রেস রিলিজ প্রদান করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল।
বর্ধিত দুই সদস্যের প্রেস রিলিজ দেখা মাত্রই ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে জবি শাখা ছাত্রদলের দীর্ঘ দিনের কর্মীরা। অবিলম্বে রুমীর বহিস্কার দাবি করেন তারা। একই সাথে অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিয়ে ত্যাগী কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করার তাগিদ জানান তারা।