আশুলিয়ায় ৩মাসের শিশুকে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

- আপডেট সময় : ১২:১৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২ ১৪২ বার পড়া হয়েছে
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ঢাকার আশুলিয়ার গোরাট এলাকার নাইটেংগেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন “ফাতেমা পেইন কেয়ার সেন্টার” এর বিরুদ্ধে ৩ মাসের শিশুকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরফলে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি করান।
এতে প্রায় লাখ টাকা অতিরিক্ত গুণতে হয় ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারকে। এবিষয়ে থানায় একটি জিডি করেন ভুক্তভোগী পরিবার। জিডি নং-১০৮৮। শিশুটির নাম তানজীম হোসেন। আশুলিয়ার ছয়তলা এলাকার দি রোজ নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন তার বাবা ও মা তানিয়া বেগম।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা তানিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ এপ্রিল প্রথম রোজার দিনে আমার বাচ্চার কানে একটা ফোড়া হয়। ফোঁড়া চিকিৎসার জন্য আমি ফাতেমা পেইন কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাই। পরবর্তীতে ডাক্তার আহসান হাবিব কান ওয়াশ করে দেয় এবং একটা এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন পুশ করেন।
এরপরেই আমার বাচ্চা আর নড়াচড়া করে না। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ঘুমিয়ে গেছে। সেখান থেকে বাসায় নিয়ে আসার পরে বাচ্চাকে বিছানায় শুইয়ে দেই। এর কিছুক্ষণ পরে দেখতে পাই তার হাত-পা শক্ত হয়ে গেছে। পরে আমি চিৎকার করে কান্নাকাটি করলে বাসার পাশের ভাড়াটিয়ারা এসে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
তখন দেরী না করে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাই। ওই হাসপাতালে আইসিইউ বেড না থাকায় সেখানকার দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এর ৩৬ ঘন্টা পরে আমার বাচ্চার জ্ঞান ফিরে আসে। তবে ভুল ইনজেকশন পুশ করার কারণে এই ড্রাগ রিয়াকশন করেছে বলে জানা যায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসকের কাছ থেকে। সেখানে ৭দিন ভর্তি থাকায় প্রায় লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।
আমি যাতে করে এর সুষ্ঠ বিচার পাই এজন্য প্রশাসন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এব্যাপারে ডাক্তার আহসান হাবিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি লোক মারফতে জানান, ‘আমি ঐ শিশু বাচ্চাকে সঠিক চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু শিশুর পরিবার যদি আমাদের চিকিৎসায় সন্তুুষ্ট না হয়, তাহলে তারা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
যদি করে তাহলে আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবেলা করবেন বলে জানান তিনি। পরে এবিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সায়েমুল হুদা’র মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।