দোহার প্রতিনিধিঃ ঢাকার দোহার উপজেলার নুরুল্লাপুর দরবার শরীফের মেলা থেকে জেনারেটর ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মেলার দোকান ব্যবসয়ীদের কাছ থেকে জানা যায় জেনারেটর ব্যবসায়ী আনোয়ারকে মারধরের আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে ১০/১২ জনের একটা গ্রুপ এসে দোকানে দোকানে জেনারেটরের লাইট ভাংচুর করে চলে যায়।
পরের দিন শুক্রবার রাতে জেনারেটর ব্যবসায়ী আনোয়ারকে বেধরক মারধর করে তার কাছে থাকা এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় স্থানীয় সেরজন মোল্লার ছেলে আক্তার ও তাদের গ্যাং এর লোকজন। আক্তারের নামে দোহার থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা যায়।
জেনারটর ব্যবসয়ী আনোয়ার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আক্তার সহ কিছু লোক দোকানে এসে লাইট জেনারেটর ভাংচুর করে চলে যায়।
শুক্রবার রাতে কমিটির লোকজন আমাকে জেনারেটরের বিল পরিশোধ করে এক লাখ টাকা দেয়। আমি টাকা নিয়ে দোকানে ছেলেদের বিল দেয়ার জন্য গেলে আক্তার তার লোকজন নিয়ে গিয়ে আমাকে মারধর করে টাকা সব ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারপর মারতে মারতে মেলার বাইরে নিয়ে যেতে থাকে। দোকানদাররা ও কমিটির লোকজন এগিয়ে এলে ওরা চলে যায়।
কমিটির সদস্য আজম মোল্লা বলেন, আক্তার ও তার দলবল বৃহস্পতিবার দোকানে দোকানে গিয়ে জেনারেটরের লাইট ভাংচুর করে। শুক্রবার রাতে আমরা কমিটি থেকে জেনারেটরের বিল পরিশোধ করে আনোয়ারকে একলাখ টাকা দেই।
আনোয়ার সেই টাকা নিয়ে দোকানে যাওয়ার সময় আক্তার ও তার দলবল মিলে আনোয়ারকে মারধর করে টাকাগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমরা খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি আনোয়ারকে মেরে মাটিতে ফেলে রেখেছে। আমরা বিষয়টি সকলকে জানিয়েছি ও দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
কমিটির আরেক সদস্য তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করে জানান, আক্তার আমাকেও ফোন দিয়ে গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছে। ও একাধিক মামলার আসামী।
তারপরও প্রকাশ্যে মারধর করছে, টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা আনোয়ারকে জেনারটর বিল পরিশোধ করার কিছুক্ষণ পরই তাকে মারধর করে আক্তার ও তার দলবল আনোয়ারের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে মেলার বেশকিছু দোকানদারের কাছে জানতে চাইলে তারা ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, গত রাতে আনোয়ারকে কিছু লোক মিলে অনেক মারধর করে। এবং তার আগের দিন অনেকগুলো দোকানে জেনারেটরের লাইট ভাংচুর করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
তবে কিছু কিছু দোকানদার হামলাকারীদের চিনলেও ভয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয় নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আক্তারের সাথে মুঠোফনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দোহার থানার এস আই লিয়াকত জানান, অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা যাচাই করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।