ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
লালমনিরহাটে চাউলের বস্তায় মিললো ৩৮ লাখ টাকা কালীগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন শিক্ষার্থীরাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের কারিগর -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি দোয়ারাবাজারে বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন কালীগঞ্জে মসজিদ, মন্দির ও শশ্মানে আর্থিক সহায়তা প্রদান প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্বপ্নের দিরাই শাল্লা সড়কের কাজ উদ্বোধন দোয়ারাবাজারে মৎস্য ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট উপজেলাজুড়ে মাছের জন্য হাহাকার কালিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদ্‌যাপন নবীনগর স্কুলের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করলেন প্রধান শিক্ষক! মোংলায় বজ্রপাতে নিহত ১, আহত ১

আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার; গ্রেফতার-৩

মসিউর রহমান, সাভার।
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩ ১৬ বার পড়া হয়েছে
দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ঢাকার আশুলিয়ায় অপহরণের ১০দিন পর বিল থেকে ফারাবি আহমেদ হৃদয় (২২) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছেন র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র‌্যাব-৪। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফকার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার মোজারমিল এলাকার একটি বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফারাবি আহমেদ হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে। সে জাহাঙ্গীরনগর কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মানিকগঞ্জ জেলার ময়েজ উদ্দিন ওরফে পরান (২২) বগুড়া জেলার সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পি (২৩) এবং আকাশ নামের অপর একজন। তারা আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করে।
র‌্যাব জানান, গ্রেফতার আসামীরা ও ঘটনার মূলহোতা পরান এবং ভুক্তভোগী হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। হৃদয়ের বাবা স্থানীয় প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তি। গ্রেফতার আসামী পরান ও তার সহযোগী সুমন মিয়া, আকাশ এবং পলাতক শাহীন আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়কে অপহরণ করে তার পরিবারের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে আসছিলো।
র‌্যাব আরও জানায়, পূর্ব পরিকল্পনামতে গত ০৮ মে বিকেলে আসামীরা ভুক্তভোগীকে আড্ডা দেয়ার কথা বলে সুকৌশলে আকাশের বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামীরা হৃদয়কে জোড়পূর্বক রশি দিয়ে বেঁধে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা  মুক্তিপণ দাবী করে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে আসামীরা সংঘবদ্ধভাবে হৃদয়ের গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে তার মুখে বালিশ চাঁপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে একই দিন সন্ধ্যায় মরদেহ বস্তায় ভরে রিকশাযোগে মোজারমেল এলাকায় একটি বিলে ফেলে দেয়। পরে তারা আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। এরপরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় কলেজ ছাত্র হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব-৪ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহমান জানান, একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধারপূর্বক উক্ত অপহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত পরান, বাপ্পি ও আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার; গ্রেফতার-৩

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
ঢাকার আশুলিয়ায় অপহরণের ১০দিন পর বিল থেকে ফারাবি আহমেদ হৃদয় (২২) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছেন র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র‌্যাব-৪। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফকার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার মোজারমিল এলাকার একটি বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফারাবি আহমেদ হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে। সে জাহাঙ্গীরনগর কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মানিকগঞ্জ জেলার ময়েজ উদ্দিন ওরফে পরান (২২) বগুড়া জেলার সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পি (২৩) এবং আকাশ নামের অপর একজন। তারা আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করে।
র‌্যাব জানান, গ্রেফতার আসামীরা ও ঘটনার মূলহোতা পরান এবং ভুক্তভোগী হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। হৃদয়ের বাবা স্থানীয় প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তি। গ্রেফতার আসামী পরান ও তার সহযোগী সুমন মিয়া, আকাশ এবং পলাতক শাহীন আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়কে অপহরণ করে তার পরিবারের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে আসছিলো।
র‌্যাব আরও জানায়, পূর্ব পরিকল্পনামতে গত ০৮ মে বিকেলে আসামীরা ভুক্তভোগীকে আড্ডা দেয়ার কথা বলে সুকৌশলে আকাশের বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামীরা হৃদয়কে জোড়পূর্বক রশি দিয়ে বেঁধে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা  মুক্তিপণ দাবী করে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে আসামীরা সংঘবদ্ধভাবে হৃদয়ের গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে তার মুখে বালিশ চাঁপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে একই দিন সন্ধ্যায় মরদেহ বস্তায় ভরে রিকশাযোগে মোজারমেল এলাকায় একটি বিলে ফেলে দেয়। পরে তারা আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। এরপরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় কলেজ ছাত্র হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব-৪ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রহমান জানান, একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধারপূর্বক উক্ত অপহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত পরান, বাপ্পি ও আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।