এহসানুল হক রিপনঃ কয়লার দাম বেড়ে দ্বিগুন হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইট ভাটা মালিকরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে হতাশ ও শংকিত হয়ে পড়েছেন। দ্বিগুন দামে কয়লা কিনে ইট পোড়ালে বাড়বে উৎপাদন খরচ। এ অবস্থায় ব্যবসা চালাতে গেলে ইটের দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোন বিকল্প উপায় থাকবে না তাদের।
জানা গেছে, গত কয়েক বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কয়েকটি উপজেলায় বেশ কিছু পরিবেশ বান্ধব ইট ভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ইট ভাটায় সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে মাটি কেনা ও অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে কাঁচা ইট প্রস্ত করা হয়।নভেম্বর মাসের প্রথম দিক থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত একই সাথে চলে ইট তৈরী ও পোড়ানোর কাজ।
প্রতি মৌসুমেই এলাকার চাহিদা মেটানোর পরও পাশের উপজেলা গুলোর ক্রেতাদের নিকট ইট বিক্রি করেন ইট ভাটা মালিকরা। গত মৌসুমে এসব ভাটায় প্রস্ততকৃত ইট ৭ হাজার থেকে ৭ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভাটা মালিকদের গত বছরের সব ইট বিক্রি হয়ে গেছে।কয়লার দাম বাড়ায় চলতি মৌসুমের শুরুতেই ইটের দাম বৃদ্ধির আশংকা করা হচ্ছে।
দু একটি ইট ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু হলেও অনেক ইট ভাটা মালিকই এখন পর্যন্ত উৎপাদনে যেতে পারেননি। তদুপরি লঘুচাপের প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় কাঁচা ইট তৈরীর কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে উৎপাদনে যেতে আরো দেরী হয়ে যাচ্ছে ইট ভাটা মালিকদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সুহিলপুরের ইট ভাটার মালিক জহির ভুঁইয়া জানান, গত বছর এসময় প্রতি টন কয়লার দাম ছিল সাত হাজার থেকে আট হাজার টাকা।
এবার মৌসুমের শুরুতেই আমাদের প্রতি টন কয়লা কিনতে হচ্ছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায়। প্রতি টনে দাম বেড়েছে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। কয়লার দাম না কমলে ইট ভাটা চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। বর্ধিত দামে কয়লা কিনে ইট পোড়ালে আমাদের অবশ্যই বেশি দামে ইট বিক্রি করতে হবে।
কয়লা ব্যবসায়ীরা জানান, কয়লা বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। আমাদের বেশি দামে কয়লা কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।