শত শত বছর ধরে চলমান যে সংস্কৃতির অলংকারগুলো হারিয়ে যাচ্ছে

- আপডেট সময় : ০৮:৫৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১২২ বার পড়া হয়েছে
খ ব র…. রাখেন কি আর জানেন কি ?
হ্যা ভাই গরম গরম চানাচুর,
না খেলে মিস করবেন।
১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭- ২ চানাচু….র।
আই লাভ ইউ সিঙ্গাপু….র,
বাড়ি হল দিনাজপুর,
বিক্রি করি চানাচু…র,
থাকি আমি ফরিদপুর।
চানাচু…র।
ভোক্তা ও ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে দৃষ্টিনন্দিত নবাবী পোষাকে সজ্জিত চানাচুর বিক্রেতা আবুল হাসেম(৫০), নানা মুখরোচক উল্লেখিত বক্তব্য দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন। শিশু -কিশোর, আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা একনজর থমকে দাড়াতে হয়, কারন তার মুগ্ধ করা বক্তব্য এবং ঢংয়ের পোষাকে নানা ভঙ্গীতে চানাচুর বানানোর দৃশ্য দেখেন। লোভনীয় বক্তব্যে অনেকেই চানাচুর না কিনে ফেরেন না। প্রায় ২৫বছর এ পেশায় নিয়োজিত। দেবীদ্বার উপজেলাতেই নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা, পর্যটন এলাকা, মেলা. খেলা ধূলা, জনসভা, সব জাগাতেই তার বিচরণ। এখন আর নিজ জেলার বাহিরে খুব একটা যাননা।
দেবীদ্বার উপজেলা সদরের নিউমার্কেট এলাকয় চানাচুর বিক্রয়ের সময় তার সাথে আলাপকালে সে জানায়। এপেশায় এখন সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। …..অসাপ্ত
আমাদের সমাজে নানা পেশার মাঝেও কিছু কিছু পেশা আছে, যে সব পেশায় নিজের আর্থিক সংকট নিরসনই নয়, শিশু সহ সকল বয়সী মানুষকে আনন্দ দেয়ায়ও অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। গ্রাম বাংলার শত শত বছরের সংস্কৃতির প্রাণ হিসেবে পরিচিত এসব ব্যবসা, খেলা আজ অনেকের কাছেই অতিত স্মৃতি, নতুন প্রজন্মের কাছে গল্পকথা। আধুনিক সভ্যতার ¯্রােতে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উত্থানে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর চানাচুর বিক্রেতা আবুল হাসেম’র সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ পুনঃরায় তুলে ধরলাম। তবে ছবিটি আজকের। আজ ১৬ ফেব্রæয়ারী দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ’র পক্ষে দেবীদ্বার নিউমার্কেট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় কাইছার হায়দারের নেতৃত্বে একদল কর্মীর লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিক সাঈদুজ্জামান টিটু ও সাংবাদিক সোহাগ’র ক্যামেরায় বন্দি ছবি।
পেছনের কথা,- দেবীদ্বার থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান তার নিয়ন্ত্রিত সিসি ক্যামেরায় দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে চানাচুর বিক্রয় করতে দেখে, বিষয়টি ফোনে আমকে জানান এবং তাকে নিয়ে কিছু লিখতে বলেন।
তখন দেবীদ্বার সদর এলাকার আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তায় ২৩টি সিসি ক্যামেরা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে থানা থেকেই সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্তণ করা হত। তখনই তার জীবনী সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরী করেছিলাম। আজ পুনঃরায় তাকে চানাচুর বিক্রয় করার সময় নির্বাচনী প্রচারনার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেয়ে আবারো আপলোড করলাম।