ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ ::
ইউস্যাফের ঈদ আয়োজন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বরকামতা ইউনিয়নবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগ নেতা কালীপদ মজুমদারের অর্থায়নে ঈদ সামগ্রী বিতরণ সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংঘর্ষে ২ জন নিহত আহত ২০ একজন গ্রেফতার ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এড. রফিকুল আলম চৌধুরী  ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমন ছাতকে খালের পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ বিক্রি করবো এমন বাবার মেয়ে আমি না : প্রধানমন্ত্রী ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জিএস সুমন সরকার

কক্সবাজার কটেজ জোনে গণপূর্ত বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান; ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯০ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার কটেজ জোনে গণপূর্ত বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান; ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

দেশের সময়২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজারঃ কক্সবাজার গণপূর্ত কার্যালয়ের পাশ ঘেঁষে গণপূর্তের জমিতেই অবৈধভাবে নির্মিত হচ্ছে কটেজের নামে বহুতল ভবন। তবে ইতোমধ্যে এসব স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও উচ্ছেদ করতে মাঠে নেমেছে গণপূর্ত বিভাগ।

মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে গণপূর্ত বিভাগ পরিচালিত অভিযানে বেশ কয়েকটি নির্মাণাধীন কটেজের টিনের ঘেরা আংশিক ভাংচুর করা হয়। এঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে প্লট ও কটেজ মালিকরা। বৈধ জমিতে বৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান সম্পূর্ণ অবৈধ হস্তক্ষেপ বলে দাবী করেছেন সৈকত মার্ল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি নাজেম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ ।

সুত্র মতে, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীত পাশে গণপূর্তের কার্যালয়। ১৯৯৬ সাল থেকে সেখানে চলে কটেজ নির্মাণ কাজ। কটেজ জোনের পুরো জমি গণপূর্ত বিভাগের হলেও ১৯৯৫ সালে শর্তসাপেক্ষে লীজ নেন জমি নিয়ে সৈকত মার্ল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ। জানাগেছে, এই জমি নিয়ে সৈকত মার্ল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও গণপূর্ত বিভাগের মধ্যে উচ্চ আদালত দীর্ঘদিন আইনী লড়াই চলে।

২০১৯ সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে প্রায় আড়াই একর জমি ফিরে পান গণপূর্ত বিভাগ। এসব জমিতে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ বলে দাবী করে গণপূর্ত বিভাগ। বর্তমানে সরকারি এই জমিতে ১০/১৫টি বহুতল ভবন নির্মাণ চলছে প্রকাশ্যে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে আংশিক অভিযান চালায় গণপূর্ত বিভাগ। সেখানে টিনে ঘেরা ও নির্মাণ সামগ্রী ভাংচুর করা হয়।

সৈকত মার্ল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি আবু হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, এসব স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে অনেক বিষয় আছে। ১৯৯৫ সালে এসব জমি গণপূর্ত থেকে দীর্ঘ মেয়াদী লীজ নেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে সরকারী কোষাগারে ৯ একর জমি বাবদ ৬৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এসব জমিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে সেই সময় থেকে পর্যায়ক্রমে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

সৈকত মার্ল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি নাজেম উদ্দিন জানান, কক্সবাজার পৌর কতৃক পক্ষ সড়ক উন্নয়ন কাজ চালানোর কারণে কিছু কটেজের পজিশন নিচু হয়ে যায়। এসব কটেজগুলো উচু করে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গণপূর্ত বিভাগ আমাদের বরাদ্দের জমিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় মহামান্য হাইকোর্টে রিটপিটিশ ( নং ৬০০/২০২২) দায়ের করা হয়েছে। রীটের শুনানীর জন্য ১৪ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমতিয়াজ আহমেদের নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লখ্য, ২০২১ সালের ২৫ জুলাই ও চলতি বছরের ৩১ মে দুই দফায় অভিযান চালিয়ে ওই স্থানে স্কেভেটর দিয়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ নির্মাণাধীন ভবন উচ্ছেদ করেছিল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। সেই অভিযানের দেড়মাস যেতে না যেতেই আবারও স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে শেষ করেছে লাইট হাউজের এসএস গেষ্ট হাউজ, টিআর রিসোর্ট ও সী কুইন কটেজের মালিক। এসময় জব্দ করা হয়েছিল নির্মাণ সরঞ্জামও।

এর আগেও সেখানে কউক অভিযান চালিয়ে নির্মাণাধীন বহু স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু ভেঙে দেওয়ার কয়েকমাস পর সেগুলো নির্মাণ কাজ চলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কক্সবাজার কটেজ জোনে গণপূর্ত বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান; ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ১১:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজারঃ কক্সবাজার গণপূর্ত কার্যালয়ের পাশ ঘেঁষে গণপূর্তের জমিতেই অবৈধভাবে নির্মিত হচ্ছে কটেজের নামে বহুতল ভবন। তবে ইতোমধ্যে এসব স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও উচ্ছেদ করতে মাঠে নেমেছে গণপূর্ত বিভাগ।

মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে গণপূর্ত বিভাগ পরিচালিত অভিযানে বেশ কয়েকটি নির্মাণাধীন কটেজের টিনের ঘেরা আংশিক ভাংচুর করা হয়। এঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে প্লট ও কটেজ মালিকরা। বৈধ জমিতে বৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান সম্পূর্ণ অবৈধ হস্তক্ষেপ বলে দাবী করেছেন সৈকত মার্ল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি নাজেম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ ।

সুত্র মতে, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীত পাশে গণপূর্তের কার্যালয়। ১৯৯৬ সাল থেকে সেখানে চলে কটেজ নির্মাণ কাজ। কটেজ জোনের পুরো জমি গণপূর্ত বিভাগের হলেও ১৯৯৫ সালে শর্তসাপেক্ষে লীজ নেন জমি নিয়ে সৈকত মার্ল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ। জানাগেছে, এই জমি নিয়ে সৈকত মার্ল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও গণপূর্ত বিভাগের মধ্যে উচ্চ আদালত দীর্ঘদিন আইনী লড়াই চলে।

২০১৯ সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে প্রায় আড়াই একর জমি ফিরে পান গণপূর্ত বিভাগ। এসব জমিতে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ বলে দাবী করে গণপূর্ত বিভাগ। বর্তমানে সরকারি এই জমিতে ১০/১৫টি বহুতল ভবন নির্মাণ চলছে প্রকাশ্যে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে আংশিক অভিযান চালায় গণপূর্ত বিভাগ। সেখানে টিনে ঘেরা ও নির্মাণ সামগ্রী ভাংচুর করা হয়।

সৈকত মার্ল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি আবু হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, এসব স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে অনেক বিষয় আছে। ১৯৯৫ সালে এসব জমি গণপূর্ত থেকে দীর্ঘ মেয়াদী লীজ নেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে সরকারী কোষাগারে ৯ একর জমি বাবদ ৬৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এসব জমিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে সেই সময় থেকে পর্যায়ক্রমে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

সৈকত মার্ল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি নাজেম উদ্দিন জানান, কক্সবাজার পৌর কতৃক পক্ষ সড়ক উন্নয়ন কাজ চালানোর কারণে কিছু কটেজের পজিশন নিচু হয়ে যায়। এসব কটেজগুলো উচু করে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গণপূর্ত বিভাগ আমাদের বরাদ্দের জমিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় মহামান্য হাইকোর্টে রিটপিটিশ ( নং ৬০০/২০২২) দায়ের করা হয়েছে। রীটের শুনানীর জন্য ১৪ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমতিয়াজ আহমেদের নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লখ্য, ২০২১ সালের ২৫ জুলাই ও চলতি বছরের ৩১ মে দুই দফায় অভিযান চালিয়ে ওই স্থানে স্কেভেটর দিয়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ নির্মাণাধীন ভবন উচ্ছেদ করেছিল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। সেই অভিযানের দেড়মাস যেতে না যেতেই আবারও স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে শেষ করেছে লাইট হাউজের এসএস গেষ্ট হাউজ, টিআর রিসোর্ট ও সী কুইন কটেজের মালিক। এসময় জব্দ করা হয়েছিল নির্মাণ সরঞ্জামও।

এর আগেও সেখানে কউক অভিযান চালিয়ে নির্মাণাধীন বহু স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু ভেঙে দেওয়ার কয়েকমাস পর সেগুলো নির্মাণ কাজ চলে।